সোনারগাঁ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনাঘাট এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের অ্যারোসল ও এয়ারফ্রেশনার কারখানায় আগুনে ১১ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। ২৪ নভেম্বর রোববার সকাল ১০টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ শ্রমিকরা হলেন মো. বিপ্লব (২৮), আরিফ (১৭), হাসান (২২), শাওন (২৪), হোসাইন (১৮), চঞ্চল (২৬), তামজিদ শেখ (৪০), মো. তন্ময় (২৫), নুর ইসলাম (২৩), আল আমিন (২৪) ও মো. আরিফ (২৭)। জানা যায়, গতকাল রোববার সকাল থেকে শ্রমিকরা বসুন্ধরা গ্রুপের পেপার মিলের অভ্যন্তরে অ্যারোসল, এয়ারফ্রেশনার, ডিটারজেন্ট তৈরীর কেমিক্যাল কারখানায় কাজ করছিলেন। তখন সেখানে হঠাৎ করে বিস্ফোরণ হয়। এতে আশপাশে থাকা ১১ জন শ্রমিক দগ্ধ হন। সঙ্গে সঙ্গে কারখানা অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। পরে দগ্ধদেরকে নিজস্ব বাসে করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়। বসুন্ধরা পেপার মিল ইউনিট-১ এর সিকিউরিটি ইনচার্জ মোর্শেদ আলম জানান, গতকাল রোববার সকালে কারখানার ভিতরে এয়ারফ্রেশনারের বোতলে গ্যাস ভর্তির সময় ছোট একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১১ জনের মতো শ্রমিক দগ্ধ হয়েছে। সবাইকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। বড় কোন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। এমনকি ফায়ার সার্ভিসের কোন সহযোগিতা ছাড়াই আমরা তাৎক্ষণিক ভাবে ১০ মিনিটের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের (নারায়ণগঞ্জ-২) উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল মান্নান জানান, কারখানা থেকে আগুনের খবর আমাদের জানানো হয়েছে। কিন্তু আমাদের ফায়ার ইউনিট রওনা হবার আগেই আগুন নিভে যায় বলে আমাদের জানানো হয়। তখন বিস্ফোরণ বা দগ্ধের বিষয়টি জানানো হয় নি। তারপরেও ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট পরে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
সোনারগাঁ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল জানান, গ্যাস বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষনিক তাঁদের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট আগুন নিভিয়ে ফেলে। এঘটনায় দগ্ধ ১১ জনকে রাজধানীর জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান দগ্ধ কর্মীদের বরাত দিয়ে জানান, কারখানাটির ডিটারজেন্ট তৈরির ইউনিটে বৈদ্যুতিক লাইনের সংযোগ দিতে গিয়ে মিস ম্যাচ হয়ে পাইপলাইনে বিস্ফোরণ হয়। এ বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুনে দগ্ধ ১১ জন শ্রমিক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আহতদের শরীরের অন্তত ১৫ থেকে ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
Leave a Reply