সোনারগাঁ(নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের জৈনপুর এলাকায় আদালতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালু ভরাটের মাধ্যমে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গত কয়েকদিন ধরে বালু ভরাট করে যাচ্ছে। এ ঘটনায় জৈনপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় শনিবার রাতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু ভারাট কাজ বন্ধ করে দেয়।
সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায, উপজেলার জৈনপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম মোল্লার সাথে পার্শ¦বর্তী মো. আবুল কালাম গংদের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। এ বিরোধের জের ধরে গত কয়েকদিন ধরে জৈনপুর মৌজায় আর এস ১৮২ ও ১৮৩ দাগের ৪ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে। এ নিয়ে আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার রায় সিরাজুল ইসলাম মোল্লার পক্ষে আসে। পরবর্তীতে এ রায়ের বিপক্ষে আবুল কালাম গং উচ্চ আদালতে আপিল করে। আদালতের মামলা চলমান থাকার পরও মো. আবুল কালাম, মো. ইলিয়াস ও আবুল বাদশা জোরপূর্বক গত কয়েকদিন ধরে ড্রেজারের মাধ্যমে বালূ ভরাট করে। এছাড়াও প্রতিপক্ষ সিরাজুল ইসলাম মোল্লাকে প্রাণ নাশের হুকমি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বাদি হয়ে শনিবার রাতে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
ভূক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, আমাদের জমি দখল করে বালু ভরাট করছে আবুল কালাম গং। আমাদের পক্ষে আদালতের রায় রয়েছে। আদালতের রায় অমান্য করে তারা জোরপূর্বক বালু ভরাট কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিযুক্ত আবুল কালাম বলেন, মামলায় সিরাজুল ইসলামদের সঙ্গে কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। আমাদের জমিতেই আমরা বালূ ভরাট করছি। সিরাজুল ইসলামদের জমিতে আমরা বালু ভরাট করছি না।
পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মো. নুরুজ্জামান নুরু বলেন, আমার গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে এ বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। আবুল কালাম গংরা তাদের সঠিক জমিতে বালু ভরাট করছেন। তবে সিরাজুল ইসলাম গংরা মনে করছেন তাদের জমিতে বালূ ভরাট হচ্ছে। বিষয়টি ভুল বুঝাবুঝি। জমির কাগজপত্র নিয়ে বসলেই সঠিক বিষয়টি উঠে আসবে।
সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মো. ইমরান আহম্মেদ বলেন, জমিতে জোরপূর্বক বালু ভরাটের বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু ভরাট কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ভরাট কাজ বন্ধ থাকবে।
Leave a Reply