নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সোনারগাঁ জি. আর. ইনস্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এর কলেজ শাখার ২য় বর্ষের ছাত্র হেদায়েত উল্লাহ জীবন জীবিকার তাগিদে লেখাপড়ার খরচ ও সংসারের অর্থ জোগান দিতে মাছ প্যাকেটজাত করণ এর কাজে ভ্যান গাড়ি দিয়ে বরফ সরবরাহ করতেন। এ কাজ করতে গিয়ে তার পায়ের হাঁটুতে আঘাত পায়। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করেও পা রক্ষা করতে পায়নি। পায়ে পচন ধরায় হাঁটুর উপর দিয়ে কেটে ফেলতে হয়েছে। তবুও সে থেমে নেই, এক পা ও হাত দিয়ে ব্যাটারি চালিত গাড়ি চালিয়ে আয় করে সংসার ও লেখাপড়ার খরচ যোগায়। বর্তমানে সে কৃত্রিম একটি পা লাগানোর জন্য সাভার সিআরপি- র মিস ভ্যালরি টেইলর এর সাথে যোগাযোগ করে। পা সংযোজন করতে যে টাকার প্রয়োজন তা যোগার কারা হেদায়েত উল্লাহর পক্ষে কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। সোনারগাঁ জি. আর. ইনস্টিটিউশন মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এর শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী মিলে কিছু টাকা জোগান দেয়। বাকি টাকায় জন্য অধ্যক্ষ সুলতান মিয়া তার নিজস্ব ফেইসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেয়। এ স্ট্যাটাস দেখে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল ঐ ছাত্রের সহায়তায় এগিয়ে আসেন। আবু নাঈম ইকবাল সোনারগাঁ জি. আর. ইনস্টিটিউশন এর সহকারী শিক্ষক মোঃ মশিউর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করে ঐ ছাত্রকে তার অফিসে আসতে বলেন। তিনি হেদায়েত উল্লাহর পরিবারের খোঁজ খবর নেয় এবং কৃত্রিম পা লাগানোর জন্য অবশিষ্ট যে টাকার প্রয়োজন তা সম্পূর্ণ টাকা ঐ ছাত্রের হাতে তুলে দেন। তিনি হেদায়েত উল্লাহকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বলেন। সবসময় তার পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দেন।
Leave a Reply