সোনারগাঁ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের সনমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. ফজলুল হকের বিরুদ্ধে নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে রাস্তা নির্মাণ করায় জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জোরপূর্বক ফসলী জমির মধ্যভাগ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করায় ওই ইউনিয়নের চর ভূলুয়া গ্রামের গোলাম হাফিজ নাসিম গত মঙ্গলবার এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. ফজলুল হক তার ব্যক্তিগত রাস্তা ব্যবহারের জন্য সরকারী অর্থের ব্যয়ে ওই এলাকার নিরীহ কৃষকের ফসলী জমির ওপর দিয়ে জোরপূর্বক মাটির রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করে। অন্যান্য কৃষকদের নিয়ে গোলাম হাফিজ নাসিম রাস্তা নির্মাণে বাধা দিলে তার লোকজন নিয়ে তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়। এতে করে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় সংঘর্ষের আশংকায় জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অভিযোগে গোলাম হাফিজ নাসিম আরো উল্লেখ করেন, ফজলুল হক একজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে একটি বাহিনী গঠন করে। সার্বক্ষণিক ওই বাহিনী দিয়ে মানুষকে আতংকের মধ্যে রাখে। রাস্তা নির্মাণ হওয়ার কারণে ওই এলাকার অনেক কৃষকের ফসলী জমি ও ফসল নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তা হওয়ার এখানে পানির অভাবে দেখা দেবে। ফলে পানির অভাবে অনেক ফসল ফলানো সম্ভব হবে না। এ রাস্তা নির্মাণ হলে এলাকাবাসীর তেমন কোন উপকারে আসবে না। শুধু মাত্র তার ব্যক্তিগত উপকারের জন্য এ রাস্তা নির্মাণ করছেন।
গোলাম হাফিজ নাসিম বলেন, ইউপি সদস্য ফজলুল হকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী স্বেচ্চার হয়েছেন। তার নিজস্ব বাহিনীর মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মোকদ্দমা দায়ের করেছি। সেই মোকদ্দমা দায়ের করায় সে আমার পেছনে লেগেছেন। আমারসহ এলাকার সাধারণ কৃষকের জোরপূর্বক ফসলী জমি নষ্ট করে ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণ করেন।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. ফজলুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জনগণের সুবিধার্থে এ রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। নাসিমের জমির কিছু অংশ এ রাস্তায় ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে আমার বিরুদ্ধে এ অপ প্রচার করা হচ্ছে। আমার কোন বাহিনী নেই। জনগনের ভালো হবে এমন সব কাজ আমি করে যাচ্ছি। একটি মসজিদের কর্মকান্ড নিয়ে বিরোধ হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে ২টি মামলা ও ডিসির কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এ রাস্তা ইউএনও ও প্রকল্প কর্মকর্তা পরিদর্শন করেছেন।